‘জিয়া হত্যাকাণ্ডের পর হাসিনা-সাজেদা পালানোর সময় সীমান্তে ধরা পড়েন’
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ বলেছেন, শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবার হত্যার সময় হাসিনা জার্মানে ছিলেন। ওখান থেকে হুমায়ূন রশীদের সহায়তায় ভারতে আসেন। ভারত থেকে প্রশিক্ষিত হয়ে তিনি বাংলাদেশে আসেন। দেশে আসার ১৭ দিনের মধ্যে জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এর সঙ্গে এরশাদও জড়িত।
সম্প্রতি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অলি আহমদ বলেন, জিয়াউর রহমানের হত্যার পর শেখ হাসিনা ও সাজেদা চৌধুরী আখাউড়া সীমান্তে ধরা পড়েন। আমরা তাদের সম্মানের জন্য এটা প্রকাশ করি নাই।
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরে বিপ্লব ও সংহতি দিবসের পর জিয়াউর রহমান মুক্তি পান। এ বিষয়ে অলি আহমদ বলেন, ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্টের পর তিনি কোনোটার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না। সবাই মিলে একটি সরকার গঠন করল খন্দকার মোশতাকের নেতৃত্বে। মোশতাক সামরিক শাসন জারি করল। দেশকে অস্থিতিশীল করার দায়ে কর্নেল তাহেরকে ফাঁসি দেওয়া হলো। এ বিষয়ে জিয়ার কোনো হাত ছিল না।
বাংলাদেশের বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপ নিয়ে এই মুক্তিযোদ্ধা বলেন, আমরা ভারতের অঙ্গ রাজ্য হওয়ার জন্য যুদ্ধ করি নাই। আমরা চেয়েছি বাংলাদেশের জনগণ দেশকে শাসন করবে ও দেশকে সামাল দেবে। অন্যের হস্তক্ষেপ মেনে নেব না। কিন্তু খালেদ মোশাররফ আওয়ামী লীগের হয়ে ভারতের দালাল হিসেবে কাজ করছিল। যার ফলে শেখ মুজিবুরের মত পরিণতি হয়েছিল তার।

